Skip to main content

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করলেন মার্কিন মন্ত্রীরা


কক্সবাজারে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা হলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী কেলি ক্লিমেন্টস এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী ডেনিয়েল বায়।
তারা গতকাল বিকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তারা টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।

গতকাল দুপুরে মার্কিন প্রতিনিধি দল কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আধঘণ্টার এক বৈঠকে মিলিত হন। 
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ নুরুল বাসির জানান, বেলা দেড়টায় মার্কিন প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন। এ সময় কক্সবাজারে কর্মরত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ফিরোজ সালাহউদ্দিন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী কাদেরের কাছে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। 
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দল উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান। 
কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে মার্কিন প্রতিনিধি দল শরণার্থী শিবিরে পৌঁছান। তারা দুই ঘণ্টা শিবিরে অবস্থান করেন এবং শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। 
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. জয়নুল বারী সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানা উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে। 
এদিকে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে মার্কিন প্রতিনিধি দলের কোনো সদস্যই মিডিয়ায় কথা বলেননি। 
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকার আমেরিকান সেন্টারের পাবলিক যোগাযোগ সমন্বয়কারী সৈয়দ শাহনওয়াজ মহসিন জানান, আজ টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে দুপুরে ঢাকায় ফিরে যাবেন প্রতিনিধি দলটি।

Source here

Comments

Popular posts from this blog

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই

বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কোনোই ভবিষ্যৎ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রোহিঙ্গা বিষয়ক আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা। তিনি এই আশ্রয়শিবিরকে চিড়িয়াখানার সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য একটি উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ এওয়ার্ড (আইডব্লিউসিএ) পুরস্কার পান রাজিয়া সুলতানা। সাহসিকতা দেখানোর জন্য সারা বিশ্ব থেকে বাছাই করা ১০ জন নারীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।  রাজিয়া সুলতানার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাতে তিনি রোহিঙ্গাদের পরিণতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। রাজিয়া সুলতানা বলেন, মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে আশার অভাব রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের ফলে তারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। রাজিয়া সুলতানা বলেন, এই আশ্রয় শিবিরে যত বেশি সময় শরণার্থীরা থাকবেন ততই পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকবে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, হ্যাঁ, এ কথা সত্য যে, শরণার্থীরা খাবার পাচ্ছে। কিন...

Refugee Poem

The Refugee   I suffered.                From violence And discrimination.                                 Fear in children’s eyes                             Tearing my heart.      I anguished                         Brain tortured, Heart bleeding guts screaming. Not daring.   I thirsted.                       For trust given, received.                             I hungered.                                 For freedom                  ...

ရခိုင္တိုက္ပြဲ အျပန္အလွန္စြပ္စြဲ

by VOA ရခိုင္ျပည္နယ္တြင္း ျဖစ္ပြားတဲ့ ပဋိပကၡေတြနဲ႔ပတ္သက္လုိ႔ ရခိုင္လက္နက္ကိုင္အဖြဲ႔ AA က သတင္းမွားေတြ ထုတ္ျပန္ေနတယ္လို႔ တပ္မေတာ္ဘက္က စြပ္စြဲလိုက္ျပီး AA ဘက္ကလည္း သူတို႔ရဲ႕ေျပာဆိုခ်က္ေတြ မွန္ကန္တယ္ဆိုတာ ေစာင့္ၾကည့္ေလ့လာလို႔ ရတယ္လုိ႔ ေျပာဆိုလိုက္ပါတယ္။ ႏွစ္ဘက္ အျပန္အလွန္ စြပ္စြဲေျပာဆုိေနတဲ့ တုိက္ခိုက္မႈေတြအတြင္းမွာေတာ့ အရပ္သားျပည္သူ ေသာင္းနဲ႔ခ်ီ အိုးအိမ္စြန္႔ခြာ ထြက္ေျပးေနၾကရပါတယ္။ ဒီအေၾကာင္း ဗြီအိုေအျမန္မာပိုင္း သတင္းေထာက္ ကိုေဇာ္ထက္ ရန္ကုန္ကေန ေပးပို႔ ထားပါတယ္။ တပ္မေတာ္က အျပစ္မဲ႔ အရပ္သား ရခိုင္လူမ်ိဳးေတြကို ပစ္မွတ္ထားသတ္ျဖတ္တာေတြ၊ တိုက္ပြဲတုေတြ ဖန္တီးျပီး လက္နက္ၾကီးေတြနဲ႔ တိုက္ခိုက္တာေတြကို သတင္းဌာနေတြ ေစာင့္ၾကည့္ေလ႔လာမယ္ဆိုရင္ ပူေပါင္းေဆာင္ရြက္ဖုိ႔အသင့္ရွိေၾကာင္း ရခိုင္လက္နက္ကိုင္ AA အဖြဲ႔ကသတင္းထုတ္ျပန္လိုက္သလို၊ တပ္မေတာ္ဘက္ကလည္း AA ရဲ႕ သတင္းမွားထုတ္ျပန္တာေတြကို ေဒသခံတိုင္းရင္းသားေတြအေနနဲ႔ မယံုၾကဖို႔နဲ႔ လံုျခံဳေရးတပ္ဖြဲ႔ဝင္ေတြကို သတင္းေပးဖို႔ ေၾကညာခ်က္ထုတ္ျပန္ထားပါတယ္။ ၂၀၁၉ ဇန္နဝါရီ ၄ ရက္မွာ AA အဖြဲ႔က ရဲစခန္းေလးခုကို ဝင္ေရာက္တုိက္ခိုက္တာ၊ ရန္ကုန္-စစ္ေတြလမ္းမွာ မိုင္းေထာင္...